সর্বশেষ খবর

প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস

১৯৯৭ ইং সনের ১ জানুয়ারী চান্দপুর হাইস্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন তৎকালিন জাতীয় সংসদ সদস্য মরহুম এম. শামসুল হক সহেব এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব আব্দুল হাই সাহেব। উক্ত অনুষ্ঠানে সাবেক ইউ.পি চেয়ারম্যান এবং চান্দপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম শামছউদ্দিন সরকার সাহেব প্রস্তাব করেন যে আত্র এলাকায় তিনটি ইউনিয়নের (বিস্কা, কামারিয়া, ও রামপুর) মধ্যে কোন কলেজ না থাকায় উচ্চ শিক্ষা গ্রহনের সুবির্ধার্থে চান্দপুর এলাকায় একটি কলেজ প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন। মরহুম শামছউদ্দীন সরকার সাহেবের প্রস্তাবের ভিত্তিতে তৎকালীন জাতীয় সংসদ সদস্য মরহুম এম. শামসুল হক সাহেব এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব আব্দুল হাই সাহেব এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সরকারী সাহায্য সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন। ঐ অনুষ্ঠানে মরহুম এম শামসুল হক সাহেব চান্দপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি পরিত্যাক্ত ভবন মেরামত করে কলেজের কার্যক্রম শুরু করার জন্য ৫০০০০/- (পঞ্চাশ হাজার টাকা) নগদ অনুদান ঘোষনা করেন।

পরবর্তী পর্যায়ে ১৫ জানুযারী ১৯৯৭ ইং তারিখে চান্দপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব আব্দুল খালেক সাহেবের আহবানে অত্র এলাকার তিনটি ইউনিয়নের সর্বস্তরের শিক্ষানুরাগি ব্যাক্তিবর্গের উপস্থিতিতে চান্দপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে একটি সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য এম শামসুল হক সাহেব এবং আলমগীর মনসুর (মিন্টু) মেমোনরিয়াল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আলহাজ্ব মতিউর রহমান সাহেব। উক্ত সভায় কলেজের সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একটি সাংগঠনিক কমিটি গঠন করার প্রস্তাব করেন সভার আহবায়ক জনাব আব্দুল খালেক সাহেব। ঐ সভায় সর্বসম্মিতি ক্রমে ৩৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়।

সাংগঠনিক কমিটির প্রথম সভায় কমিটির সাধারণ সম্পাদক জনাব মোঃ জহিরুল ইসলাম প্রস্তাব করেন যে, বিধি মোতাবেক কলেজের কার্যক্রম শুরুর জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে কলেজের নামে নিঃশর্তভাবে ০১ (এক) একর জমির প্রয়োজন। উক্ত প্রস্তাবের আলোকে চান্দপুর কলেজের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম শামছদ্দিন সরকার সাহেবের ছোট ভাই বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ব্যাক্তিত্ব হাজী ফজর উদ্দীন সাহেব ৫০ (পঞ্চাশ) শতাংশ এবং তার বড় ছেলে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জনাব হুমায়ুন কবীর সরকার সাহেব ৫০ (পঞ্চাশ) শতাংশ জমি দান করার অঙ্গীকার করেণ এবং পরবর্তীতে লিখিত দলিলের মাধ্যমে জমির মালিকানা কলেজ কর্তপক্ষকে বুঝিয়ে দেন। বিধি মোতাবেক কলেজের জন্য ৫০,০০০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকার এফ.ডি.আর খোলার ব্যাপারে সাংগঠনিক কমিটির সকল সদস্যবৃন্দ অনুদান প্রদান করেন।

১৯৯৭-১৯৯৮ শিক্ষাবর্ষে চান্দপুর কলেজে ৮৭ (সাতাশি) জন ছাত্র/ছাত্রী ভর্তির মাধ্যমে পাঠদান শুরু হয় এবং  প্রাথমিক পাঠদানের অনুমতির জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড ঢাকা বরাবরে দরখাস্ত করা হয় কিন্তু ঐ সময় কলেজের জমিতে কলেজের নিজস্ব ভবন না থাকায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড, ঢাকা কর্তপক্ষ ১৯৯৭-১৯৯৮ ইং শিক্ষাবর্ষে পাঠদানের অনুমতি দিতে অপারগতা প্রকাশ করে। পরবর্তীতে অধ্যক্ষ সাহেব মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড ঢাকা বরাবর পুনরায় আবেদন করেন এবং এর প্রেক্ষিতে ০১/০৭/১৯৯৯ ইং তারিখে অনুমোদন লাভ করে।

 

 

পরবর্তীতে কলেজের যখন দূরদিন যখন কলেজের প্রত্যেকটি শিক্ষক অক্লান্ত পরিশ্রম এবং যৌবনের সব টুকু সময় অতিবাহিত করেও কাক্ষিত লক্ষে অর্থাৎ এম.পি.ও ভুক্ত করতে পারছিল না ঠিক ঔ দুরদিনে সাহায্যে হাত বাড়িয়ে দিয়েছলেন বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী নেদারল্যান্ড প্রবাসি বাংলাদেশি নৃতত্ত্ববিদ ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর উপজেলাধীন মইলাকান্দা গ্রামের ডঃ আন্ডুচ আব্দুর রকিব আহমেদ জাহেরউদ্দীন। তিনি কলেজে একটি লাইব্রেরী স্থাপন, ছাত্র/ছাত্রীদের শিক্ষা সফর, আসবাবপত্র তৈরী ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য ৭৫,০০০ (পচাত্তর হাজার) টাকা এবং একটি কম্পিউটার অনুদান হিসাবে দেন।পরবর্তীতে কলেজের প্রায় ১০০ জন দরিদ্র ছাত্র/ছাত্রীদের কলেজ Dress এর ব্যবস্থা করেন।

সুদীর্ঘ ১০ বছর বিনা বেতনে কর্মরত প্রভাষক, শিক্ষক ও কর্মচারিদের মধ্যে যে হতাশা নেমে এসে ছিল তার সমাপ্তি ঘটে ২০১০ সালে কলেজ এম.পি.ও ভূক্তির মাধ্যমে।

পরবর্তীতে মাননীয় সংসদ সদস্য এবং গর্ভরনিং বডির সম্মানিক সভাপতি জনাব শরীফ আহমেদের একনিষ্ঠ প্রচেষ্টার মাধ্যমে কলেজে একটি চার তলা বিশিষ্ট বহুতল ভবনের অনুমোদন পায় এবং খুব দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে কলেজ ভবনের নির্মাণ কাজ।